আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ১২:২০ অপরাহ্ণ
ছবি: সংগৃহীত
গত কয়েকমাস আগে ইসলামিক দেশগুলোর সম্মেলনে বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল এশিয়ার মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান। যদিও সে সময় তাতে সাড়া দেয়নি মুসলমানদের তীর্থস্থান সৌদি আরব। মূলত এর জেরে সৌদির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। যার ফলে পাকিস্তানকে সব রকম সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে পাওনা টাকা ফেরত চায় রিয়াদ সরকার।
বিষয়টি নিয়ে টানাপড়েনের জেরে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে ইসলামাবাদকে মুসলিম দেশগুলোকে নিয়ে আলাদা একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা বানানোর পরামর্শ দেয় এশিয়ার পরাশক্তি চীন। মূলত এরপর থেকেই তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুসলিম দুনিয়ায় নতুন জোট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান।
এবার ইসলামাবাদ থেকে তেহরান হয়ে ইস্তানবুল পর্যন্ত রেল যোগাযোগ তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলো।
খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি তুরস্কের ইস্তানবুলে ইকোনমিক কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের পরিবহন ও যোগাযোগ সংক্রান্ত বিভাগের ১০তম বৈঠক ছিল। তাতে যোগ দিয়ে ইস্তানবুল-তেহরান-ইসলামাবাদ পণ্যবাহী ট্রেন চলানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান, তুরস্ক ও ইরানের পরিবহণ মন্ত্রীরা।
জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে ইরান হয়ে তুরস্ক পর্যন্ত মোট সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটার রেললাইন পাতা হবে। এর মধ্যে ইরানে ২৬০০ কিলোমিটার, তুরস্কে ১৯৫০ কিলোমিটার ও পাকিস্তানে ১৯৯০ কিলোমিটার।
এ প্রসঙ্গে তুরস্কের পরিবহণ ও পরিকাঠামো মন্ত্রী আদিল কারাইসমাইলগ্লু জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সদস্য ১০টি দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছিল ইকোনমিক কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে।
সমুদ্রপথে যা সময় লাগে তার থেকে কম সময়ে পৌঁছনোর জন্য রেলপথ বা সড়কপথ তৈরিতেই নজর দেওয়া হচ্ছিল। ২০০৯ সালে তুরস্ক থেকে ইরান হয়ে পাকিস্তান যাওয়ার পণ্যবাহী ট্রেনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি হওয়া বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে কাজ শুরু হবে।
কওমীনিউজ/এআই
বাংলাদেশ সময়: ১২:২০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
qaominews.com | a k m ashraf