আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ২২ জুন ২০২০ | ৮:২৬ অপরাহ্ণ
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি চীন বাংলাদেশের অধিকাংশ পণ্যকে যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে; তাকে নিছক বাণিজ্য সম্পর্ক হিসেবে দেখতে নারাজ ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমগুলো। তারা বলতে চাইছে, ভারতের সঙ্গে চীনের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বেইজিং-এর এই পদক্ষেপ বাংলাদেশকে কাছে টানার প্রচেষ্টা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ বা ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিয়েছে চীন। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১ জুলাই থেকে এ বাণিজ্য সুবিধা কার্যকর হবে। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের দিল্লি সংস্করণে লিখেছে, ‘লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে সাম্প্রতিক সংঘাতের পর ভারত ও চীনের সম্পর্ক যখন তলানিতে ঠেকেছে, ঠিক তখনই চীন একগুচ্ছ সুবিধা দিয়ে তুষ্ট করতে চাইছে বাংলাদেশকে– যারা ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত।’ প্রতিবেদনটির শিরোনাম: ‘নেপাল তো পাশেই আছে, এবার বাংলাদেশকেও কাছে টানতে চাইছে চীন।’
ভারতের সবচেয়ে বড় বার্তা সংস্থা পিটিআই-ও এই পদক্ষেপকে বর্ণনা করেছে ‘বাংলাদেশকে তুষ্ট করার চেষ্টা’ (অ্যা বিড টু য়ু বাংলাদেশ) হিসেবে। পিটিআইয়ের ওই খবর হুবহু সেই আকারেই ভারতের বহু সংবাদপত্র ও নিউজ পোর্টাল ব্যবহার করেছে।
সর্বভারতীয় চ্যানেল নিউজ-১৮ আবার বেইজিংয়ের এই পদক্ষেপকে একটি ‘ভারতবিরোধী চাল’ বলেই মনে করছে। তাদের হিন্দি সংস্করণে তারা এই খবরের শিরোনাম করেছে : ‘ভারত বিরোধী চাল – নেপালের পর এখন বাংলাদেশকেও ফুঁসলাচ্ছে চীন?’ ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, লাদাখে ১৫ জুনের সংঘাতে ভারতীয় জওয়ানরা শহীদ হওয়ার ঠিক পর পরই বাংলাদেশকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টায় নানা রকম ‘হথকন্ডা’ (গিমিক বা চমক) দিতে চাইছে চীন। স্পষ্টতই, ৯৭ শতাংশ পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তকে তারা চীনের চমক বলেই মনে করছে।
সর্বভারতীয় আর একটি চ্যানেল নিউজএক্স তাদের টিভি প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে ‘বাংলাদেশের সমর্থন কিনতে পারবে না চীন’। লাদাখে কুড়িজন ভারতীয় সেনা মারা যাওয়ার ঠিক পরই চীন কেন এই শুল্ক ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর স্বপক্ষে খোদ ঢাকার বুকে যে ফেস্টুন ও পোস্টার নিয়ে মানববন্ধন হয়েছে, সেই ফুটেজও দেখিয়েছে তারা।
কওমীনিউজ/মুনশি
বাংলাদেশ সময়: ৮:২৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২২ জুন ২০২০
qaominews.com | a k m ashraf