অনলাইন ডেস্ক | ১৭ আগস্ট ২০২০ | ৯:০০ অপরাহ্ণ
ছবি: সংগৃহীত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে চুক্তির পর ফিলিস্তিন ইস্যুতে যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে ইসরায়েল। রবিবারের উপর্যুপরি বিমান হামলার পর সোমবার ট্যাংক নিয়ে গাজা উপত্যকায় হামলে পড়ে দখলদার বাহিনী। তবে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে এসব হামলা চালানো হচ্ছে।
বরাবরের মতোই এবারও হামলার পক্ষে অজুহাত হিসেবে গাজা উপত্যকা থেকে রকেট ও আগুনবোমা নিক্ষেপের কথা জানিয়েছে দখলদার বাহিনী। রবিবারের বিমান হামলার ঘটনায়ও একই অজুহাত তুলে ধরে ইসরায়েল। সোমবার ইসরায়েলি বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় হামাসের কয়েকটি সামরিক পর্যবেক্ষণ পোস্টকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে ইসরায়েলি ট্যাংক।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কথিত শান্তি চুক্তির মধ্যেই ফিলিস্তিনে ভূখণ্ডে নতুন করে তাণ্ডব অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
রবিবার সকাল থেকে গাজা উপত্যকার জেলেদের মাছ ধরার সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তেল আবিব। অঞ্চলটিতে পণ্য সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত কারিম আবু সালেম ক্রসিংও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র ফাউজি বারহৌম বলেছেন, গাজায় আমাদের জনগণের প্রাত্যহিক জীবনযাপনকে বিপর্যস্ত করে তুলতে দখলদার বাহিনী এমন আগ্রাসী নীতির আশ্রয় নিয়েছে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নীরবতার সুযোগ নিয়ে তারা করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইকে বাধাগ্রস্ত করে সংকট আরও বাড়িয়ে তুলতে চাইছে।
২০০৭ সাল থেকেই গাজা উপত্যকা অবরোধ করে রেখেছে দখলদার বাহিনী। বাইরের দুনিয়া থেকে অঞ্চলটিকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে নিয়মিত সেখানে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ধরপাকড় আর বিমান হামলা যেন সেখানে নৈমিত্তিক ঘটনা। এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সঙ্গেই বাস করতে হচ্ছে সেখানকার ২০ লাখ বাসিন্দাকে। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গাজার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বসবাস দারিদ্রসীমার নিচে। এরমধ্যেই ইসরায়েলি তাণ্ডব তাদের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। সূত্র: আল জাজিরা।
বাংলাদেশ সময়: ৯:০০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৭ আগস্ট ২০২০
qaominews.com | a k m ashraf