অনলাইন ডেস্ক | ১৯ আগস্ট ২০২০ | ৩:১৩ অপরাহ্ণ
ছবি: সংগৃহীত
সামাজিক ট্যাবু ভেঙ্গে এবার কোরআন শিখছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা। কামরাঙ্গীচরে এক খতিবের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে, সাড়া দিয়েছেন অর্ধশত হিজড়া। তাদের চাওয়া, কোনো করুণা নয়, দেওয়া হোক দক্ষতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ।
শুরুটা হয়েছিলো মাসখানেক আগে। একজন দু’জন করে এখন পবিত্র কোরআন শিখছেন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ। সবাই তৃতীয় লিঙ্গের, সবাই অবহেলিত।
সাধারণত বাংলাদেশে হিজড়ারা সমাজের পাশাপাশি ধর্মীয়ভাবেও অবহেলিত। তাই এ উদ্যোগ অনেকটাই আনকোড়া। প্রশিক্ষক মাওলানা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আল্লাহ কোন ভাগ করে বলেন নাই। আল্লাহ বলেছেন ‘ইনসান’ মানে মানুষ। সকল মানুষেরই কোরআন শিক্ষা এবং বোঝা নৈতিক দায়িত্ব। তারা এতোদিন বঞ্চিত থাকলেও আমরা এখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
বাইতুন নুর এসি মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহমান আজাদ বলেন, ‘এদের মেধা কিন্তু খুবই ভালো। এরা বাইরে অনেক সময় এলোমেলোভাবে চলাফেরা করলেও ভিতরে কিন্তু এরা খুবই পরিপাটি।’ একান্ত বিশ্বাসের আলোয় উবে যাচ্ছে এতোদিনকার উপেক্ষা। প্রত্যাশা- হয়তো পাল্টাবে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি।
সমাজের তথাকথিত স্বাভাবিক মানুষগুলো যখন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের দূরে সরিয়ে রাখছেন, তখন, নিজেরা নিজেদের মতো করে ভালো থাকার চেষ্টা ছাড়া উপায় নেই। কামরাঙ্গীরচরেও, ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে পাশাপাশি থাকছেন তারা।
তারা বলেন, আমাদের খুবই ভালো লাগছে। আরো যারা আছে তারাও যাতে কোরআনের আলোয় নিজেদের আলোকিত করতে পারে সেটাই আমরা চাই।
হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আছে। তবে বেসরকারি খাত এগিয়ে না আসলে, স্রোতের বিপরীতেই থাকতে হবে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলোকে। সূত্র: ডিবিসি।
বাংলাদেশ সময়: ৩:১৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৯ আগস্ট ২০২০
qaominews.com | a k m ashraf