নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৩ আগস্ট ২০২০ | ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
ছবি: সংগৃহীত
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানা এলাকায় ঈদের নামাজ না পাওয়ায় ইমামকে মারধর করার অভিযোগে নুরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী ফিরোজ কিবরিয়াকে আজ সোমবার দুপুর দেড়টায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুলারহাট থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেন খান বলেন, ইমামকে মারধরের একটি অভিযোগ হলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সোমবার দুপুরের দিকে এলাকা থেকে হাজি ফিরোজ কিবরিয়াকে আটক করা হয়েছে।
গত শনিবার উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ সামছুল হক কমান্ডার বাড়ির দরজার জামে মসজিদে ঈদুল আযহার নামাজকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় মুসল্লিরা অভিযোগ করেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে মসজিদে সভাপতি ও সম্পাদক কর্তৃক সকল মুসল্লিদের আলোচনা সাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজের সময় সকাল সাড়ে ৮ নির্ধারণ করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী ঈদের জামাত শুরু হয় সকাল পৌনে ৯ টায়। জামাত শেষ হওয়ার পর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফিরোজ কিবরিয়া সকাল ৯টার সময় মসজিদে প্রবেশ ইমামকে বলেন, সকল জায়গায় জামাত শুরু হয় ৯টায় আপনি কেন জামাত করলেন পৌনে ৯টায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফিরোজ কিবরিয়া মসজিদের মিম্বারের সামনে ইমামকে মারধর করেন।
ইমাম মো. নুর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে ফিরোজ কিবরিয়া মসজিদে আসতে না পারায় ঈদের নামাজ জামাতের সহিত আদায় করতে পারেননি। এ নিয়ে ফিরোজ কিবরিয়া মসজিদের ভিতর মুসল্লিদের সামনে আমাকে মারধর করে। মারধর করার পর বাড়ী থেকে কামাল কমান্ডারের ছেলে ফারুক ও ফিরোজ কিবরিয়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আসলে মুসল্লিগণ তার কাছ থেকে এগুলো উদ্ধার করে।
এ নিয়ে দুলারহাট বাজারের সদর রোডে রবিবার বিকালে উত্তেজিত মুসল্লিসহ দুলারহাট থানা কওমী মাদ্রাসা ছাত্র কর্তৃক প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করে ফিরোজ কিবরিয়ার শাস্তি দাবি করেন। তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফিরোজ কিবরিয়া মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, ইমামের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
কওমীনিউজ/মুনশি
বাংলাদেশ সময়: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৩ আগস্ট ২০২০
qaominews.com | a k m ashraf