নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ | ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
ছবি: সংগৃহীত
হেফাজতে ইসলামের আমির প্রয়াত শাহ আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ এনে এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ৩১৩ আলেম।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) আহমদ শফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রচার সচিব মাওলানা মুফতি আব্দুস ছাত্তারের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আলেমরা এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা দাবি করেন, ‘হাটহাজারী মাদ্রাসায় আন্দোলনের নামে আল্লামা আহমদ শফি ও মুহাদ্দিসদের রুম ভাংচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা পুরো কওমি অঙ্গনকে কলুষিত করেছে। জামাত শিবিরের ক্যাডার, মানহাজী ও চরমপন্থী এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। মূলত হাটহাজারী মাদ্রাসার ক্ষমতা ও কওমি অঙ্গনকে দখল এবং রাজনৈতিকভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরি করতে আহমদ শফীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়াই তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।’
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, ‘আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পরিবার যখন বিচার চেয়ে ধারে ধারে ঘুরছে, তখন একশ্রেণীর ক্ষমতালোভী বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিকে অস্বীকার করছে। তারা আল্লামা শফীর লাশ কবর থেকে তুলতে হবে বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সরকারের কাছে অনতিবিলম্বে শায়খুল ইসলামের খুনের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) হাটহাজারী মাদ্রাসায় জুনাইদ বাবুনগরী সংবাদ সম্মেলন করে একটি কথাই বারবার তুলে ধরেছেন, তা হলো- আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তবে তদন্ত হলে সমস্য কোথায়? তার উচিত ছিল মামলা ও তদন্তে সাধুবাদ জানানো। তিনি তা না করে সংবাদ সম্মেলনে হুমকি দিয়ে প্রমাণ করলেন- আল্লামা শফীর মৃত্যু অস্বাভাবিক হয়েছে।’
বিবৃতিতে আলেমরা দাবি করেন, ‘৩৬ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে যে মামলা হয়েছে তারা সবাই আল্লামা শফীর হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। শাক দিয়ে মাছ ডাকতে তারা আজ বিভিন্ন আলেমদের নামে নিজেদের বিবৃতি দিচ্ছে। যারা আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজায় শরিক হয়েছিলেন তারা সবাই আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হত্যাকাণ্ডের নিশান প্রত্যক্ষ করেছে। সন্ত্রাসীরা হযরতের পরিবার এবং মাওলানা আনাছ মাদানীকে আজও হত্যার হুমকি দিচ্ছে, তাদের হুমকির ভয়ে তিনি সচরাচর চলাফেরা করতে পারছেন না। আমরা এই পরিস্থিতির জন্য আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কমনা করছি।’
বিবৃতিদাতারা হলেন, মুফতি ওসমান সাহেব (ঢাকা), মুফতি নুরুল ইসলাম (ঢাকা), আব্দুল কাদের, মুফতি সাইফুল ইসলাম (ঢাকা), মুফতি খেফায়ত উল্লাহ (ঢাকা), মুস্তাফা কামাল (সিলেট), মুফতি সিরাজুল ইসলাম (চট্টগ্রাম), মুফতি নোমান কাসেমী (নোয়াখালী), মাহমুদুল হাসান জিহাদী (চট্টগ্রাম), রহিম উল্লাহ নোমানী (কুমিল্লা), আব্দুল হক (চাঁদপুর), আব্দুস সাত্তার জিহাদী (ঢাকা), মুজাহেরুল হক (জামালপুর), সাইফুদ্দিন কাসেমী (চট্টগ্রাম), আমিনুল ইসলাম (বাগেরহাট), নাছির উদ্দিন আফেন্দি (পাবনা), মুফতি আহমদ আলী (কুমিল্লা), হাফেজ জাবের আহমদ (নরসিংদী), মুফতি ফয়জুল করিম (সিলেটি), শহিদুল্লাহ (যশোর), ইয়াকুব আহমেদ (কক্সবাজার), মুবিনুল হক, এনামুল হক, সুলাইমান, সাদেক হোসাইন, ইকবাল হোসেন, সাকের হোসেন জালালী, নজরুল ইসলাম রহিমী, আব্দুল ওয়াহাব জাফরী নওগা, মুফতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
কওমীনিউজ/এআই
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
qaominews.com | a k m ashraf